উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও। হিমালয়ের পাশ্ববর্তী হওয়ায় শীতের প্রকোপতা বেশ ভাল। ভোর থেকে শুরু হয় শীতের ন্যায় বৃষ্টি। আর দুপুর গড়িয়ে গেলেও সূর্যের দেখা মিলেনা৷ হাড় কাঁপানো শীতের দাপট আর শৈত্য প্রবাহের হিম বাতাসে জনজীবন বিপর্যয়ে৷ শীতের প্রকোপতায় দূর্ভোগে নিম্ন আয়ের মানুষ।

রাত ১২ টা বেজে ৫ মিনিট৷ শীতের দিনে এই সময়টাকে গভীর রাত বলা হয়ে থাকে৷ তীব্র শীতকে উপেক্ষা করে গভীর রাতে শীতবস্ত্র নিয়ে ছিন্নমূল মানুষের পাশে উষ্ণতা উপহার দিয়েছেন রওশানুল হক তুষার৷ তিনি ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ- সভাপতি। গভীর রাতে ছিন্নমূল মানুষের পাশে শীতবস্ত্র দেওয়ার এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ।

রাস্তায় রাত থাকা খালেক পেলেন, কাইলকা ত বৃষ্টি হইছে হামারতি আইজ খুব ঠান্ডা। এগনা কম্বল দিয়া রাত কাটাবা পারুনা৷ তুষার ভাই কম্বল দিল এলা ঠান্ডা লাগিবেনি আর৷

বৃদ্ধা মফিজা বলেন,তুষার বাবা আল্লাহ ভাল করক৷ বিপদত পরিলে সমস্যা হইলে ওহে হামাক সহযোগিতা করে৷ খুব জার কাপেছিনু মুই বিছানা খানত৷ নিজে রাইতত ওসেহেনে কম্বলখান দিল৷ এতখান রাইতত আসিহানে দিলে বাগে৷

রওশানুল হক তুষার বলেন, আমরা সমাজে বসবাস করি। সমাজের সকল মানুষের ভালভাবে বাচার অধিকার আছে৷ আমি আমার জায়গা থেকে আওয়ামী লীগের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য জনগণের পাশে থাকার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি৷ সেই সাথে তীব্র শীতে আমাদের সকলের উচিত শীতার্ত মানুষের পাশে দাড়ানো।